বুধবার, ০৪ Jun ২০২৫, ১২:১৯ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জ থেকে: অহিদুজ্জামান শেখ
গোপালগঞ্জের রুপালি লাইফ ইন্সুরেন্সের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গোপালগঞ্জ এজেন্ট শাখার জিএম মিলন দারিয়া ও টুঙ্গীপাড়া মধুমতি সার্ভিস শাখার সিনিয়র ম্যানেজার আবু সাঈদ একাধিক গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ভুক্তভোগী জাহাঙ্গির কবির (বর্নি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি) বলেন, মিলন দারিয়া আমাকে ৩ বছরের বীমা করে দেওয়ার কথা বলে ১৫ বছর করে দেয় এবং আমার কাছের থেকে প্রথমে ৫০,৩০০ টাকা নিয়ে কোনো রিসিট দি নাই। পরে আবার আমার কাছ থেকে ৪৫,০০০ হাজার টাকা নিয়ে কোনো রিসিট দি নাই এবং আমার ফোন রিসিভ করে না৷ এ বিষয়ে আমি মিলন দারিয়ার সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করি কিন্তু আমার সাথে দেখা করে না আর টাকা ও ফেরত দেয় না। ভুক্তভোগী সাগরিকা বলেন আমাকে ২০২১ সালে বীমা করে দেন মিলন দারিয়া প্রতিবছর কিস্তি ৩২০৮০ টাকা জমা দি, সাগরিকা বলেন আমি মোট ৩ কিস্তি জমা দি ২ কিস্তির টাকার রসিদ দেয় এক কিস্তির রশিদ দেয় না।কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক অনুযায়ী ১৮-০৫-২০২৩ তারিখে ৩২ হাজার ৮০ টাকা জমা দি মিলন দারিয়ার কাছে কিন্তু মিলন দারিয়া আমাকে রিসিট দেয় না এবং ফোন ও ধরে না। ভুক্তভোগী সাগরিকা বলেন এ বিষয়ে মিলন দারিয়া কে এলাকাবাসী মিলে আটক করি পরে মিলন দারিয়া তার বস আবু সাঈদ কে ডেকে এনে মানুষের কাছ থেকে ৩০-০৪-২০২৫ তারিখে টাকা দিবে বলে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীর সোনিয়া বেগম বলেন মাসিক ২০০০ টাকা করে ডিপিএস করি ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ৫০ কিস্তি টাকা জমা দিন, সেখানে এক লক্ষ টাকা হওয়ার কথা কিন্তু হেড অফিস থেকে ফোন দিয়ে আমাকে বলে আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা আছে ৭৬ হাজার টাকা বাকি ২৪,০০০ টাকা মিলন দারিয়া মেরে খেয়েছে। এবং মিলন দারিয়া আমার কিস্তি বইতে স্বাক্ষর করে নিয়েছেন। তবে কেন আমার টাকা অ্যাকাউন্ট আসলো না। ভুক্তভোগী হোসাইন মোল্লা বলেন, আমার সাথে প্রতারণা করে মিলন দারিয়া আমাকে ৩৭ হাজার টাকা বীমা করিয়ে দেয়াড় কথা বলে ৬২৮০০ টাকার বিমা করিয়ে দিয়েছে। তাই আমি এই প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি এবং আমার টাকা ফেরত পেতে পারি তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা জন্য অনুরোধ করছি। রুপালি লাইফ ইন্সুরেন্সের মধুমতি সার্ভিস সেল সিনিয়র ম্যানেজার আবু সাঈদ টুঙ্গীপাড়া একাধিক গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করেন। বিগত দিনে আবু সাঈদ সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্সের গ্রাহকে টাকা আত্মসাৎ অভিযোগে ছয় মাসের জেল দেওয়া হয়। তারপর তিনি রুপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স চাকরি করে সেম আগের মত প্রতারণা করে আসছেন। তাই এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।