শুক্রবার, ০৬ Jun ২০২৫, ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর উত্তম বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আমি আমার রাজনৈতিক পিতার মুক্তির কারণেই টুঙ্গিপাড়া এসেছি। সবাই যখন ইঁদুরের গর্তে ছিল তখন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলাম। তার জন্য সম্মান পাইনি। মানুষের কাছ থেকে পেয়েছি কিন্তু যাদের কাছ থেকে পাওয়া দরকার তাদের কাছ থেকে সম্মান পাইনি বরং অনেক অসম্মান হয়েছে। টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা স্কুলের মাঠে বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা শোক দিবস পালন করতে চেয়েছিলাম। সেখানে কিন্তু আমাদের গাড়ি ভাঙ্গা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের লোকেরাই ভেঙে ছিল।
শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি আওয়ামী লীগের কোন দুর্দিন দেখি নাই। কারন মাওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয়। যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে আর বর্তমান আওয়ামী লীগ এক নয়। আমি একটা দল করেছি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নামে। যার প্রতিক গামছা। দলের একমাত্র উদ্দেশ্য মানুষকে পাহারা দেয়া, মানুষের সেবা করা।
বাঘা সিদ্দিকী আরও বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাফল্য আমি মনে প্রাণে কামনা করি এবং বিশ্বাস করি। কারন আগে দেশটা আমার ভালো চলে নাই। তবে আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি। বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বাংলাদেশের নেতৃত্ব করা যাবে না। আমার প্রেম আমার ভালোবাসা সমস্তটাই বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুকে না পেলে আমি একজন রিক্সাওয়ালা হতাম অথবা রাখাল হতাম। বঙ্গবন্ধুকে পাওয়ার পর আমি দেশকে ভালোবাসতে শিখেছিলাম। অনেকেই দেশপ্রেমের কথা বলে কিন্তু দেশপ্রেম এত সহজ জিনিস না। এখন মানুষের আয়ু একটু বাড়ছে, কিন্তু মানবতা কমেছে। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, দেশাত্মবোধ কমে গেছে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন বঙ্গবন্ধুর সম্মান রক্ষা করে।
এর আগে তিনি টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বিশ্রামাগারে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। পরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। এরপর বঙ্গবন্ধুর কবরের পাশে একান্তে দোয়া মোনাজাত করেন তিনি।