শুক্রবার, ০৬ Jun ২০২৫, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
গোপালগঞ্জ থেকেঃ
গোপালগঞ্জের রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের পিটার খান প্রতারণার শিকার। তাকে গত ২৩-০৯-২০২৪ তারিখে সন্ধ্যা ৭টা ১৮ মিনিটে প্রাণ কোম্পানির নামে এক প্রতারক চক্র তাকে মুঠোফোনে ফোন করে বলে যে আমরা কিছু লোক কে আর্থিক সহযোগিতা করবো আপনি কি সাহায্য পেতে চান। তখন তিনি লোভে পরে রাজি হয় এবং তাকে সেই প্রতারক চক্র আবার ফোন দিয়ে বলে যে একটা বিকাশ নম্বর দেন আমরা আপনাকে ২৪.৫০০ টাকা পাঠাবো তখন সে সিলনা বাজারে শরিফুল নামক এক বিকাশ দোকানদারের কাছে জান এবং বিকাশ দোকানদারের কাছ থেকে বিকাশ নাম্বার নেন। পরে প্রতারক চক্র সেই বিকাশ নাম্বারে ভুয়া নাম্বার থেকে ০১৮২৫৭৩৮১৬২ এই নাম্বার থেকে এসএমএস দেন যে ২৪.৫০০ টাকা এবং মূল ব্যালেন্সে টাকা দেখান ২৮.৬৫৩ টাকা। পরবর্তীতে বিকাশ দোকানদার তাড়াহুড়া করে ব্যালেন্স চেক না করে গ্রাহক কে টাকা দিয়ে দেন। ওই প্রতারক চক্র এই নাম্বার ০১৮৩১৬৬০৪৭৩ থেকে আবার ফোন দিয়ে বলে যে, আপনি অন্য একটা দোকানে গিয়ে আমাদের এই নাম্বারে টাকা টা পাঠিয়ে দেন আমরা আবার আপনাকে এক সাথে অনেক টাকা পাঠিয়ে দিবো । সেই লোভে পড়ে রবিউল নামের এক বিকাশ দোকানদারের থেকে ও বর্নি বাজারে মাহমুদ নামের এই দুই বিকাশ দোকানদার থেকে টাকা পাঠিয়ে দেন সেই প্রতারকচক্রের কাছে। ভুক্তভোগী শরিফুল সাং> সিলনা বাজার বিকাশ দোকানদার বলেন, পিটার আমার কাছ থেকে ভুয়া এসএমএস দেখিয়ে ২৪.৫০০ টাকা নেন। কিন্তু আমি তাড়াহুড়া করে ব্যালেন্স চেক না করেই তাকে টাকা দিয়ে দেই। ভুক্তভোগী পিটার বলেন আমাকে প্রতারক চক্র লোভের জালে ফেলে আমার সাথে প্রতারণা করে।
ভুক্তভোগী প্রতারক চক্রের শিকার পিটার খান, পিতা লাল মিয়া খান, সাং- সিঙ্গারকুল, থানা+জেলা গোপালগঞ্জ সদর।
ভুক্তভোগী বিকাশ দোকানদার শরিফুল ইসলাম , সাং- সিলনা বাজার , থানা+জেলা গোপালগঞ্জ সদর।
উক্ত বিষয়ে বাধ্য হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। বিষয়টি তদন্তাধীন অবস্থায় আছে।
ভুক্তভোগী বিকাশ দোকানদার শরিফুল ইসলাম ( সিলনা বাজার) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে একটা অভিযোগ দায়ের করেন পিটারের নামে।
পরিশেষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে বিশেষ অনুরোধ আগামীতে এহেন কাজ করিতে কেহ যেন এই দুঃসাহস না দেখায় এবং প্রতারণার শিকার না হয় পরবর্তীতে যদি কেহ প্রতারণার শিকার হন তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।