সোমবার, ০২ Jun ২০২৫, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন
এহিয়া আহমদ রাফি কমলগঞ্জ ( মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে মৌলভীবাজারে কোরবানির জন্য ৮০ হাজারেরও বেশি দেশীয় গবাদিপশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। জেলার সাতটি উপজেলায় খামারিরা ইতিমধ্যে পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঈদের এখনো প্রায় তিন সপ্তাহ বাকি থাকলেও দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা আসতে শুরু করেছেন। স্থানীয় খামারিরা জানান, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গোখাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে, ফলে পশু পালনের ব্যয়ও বেড়েছে। বড়, মাঝারি ও ছোট আকারের গরু প্রস্তুত করা হলেও ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি মাঝারি আকারের গরুতে। তবে এখনো অধিকাংশ গরু হাটে তোলা হয়নি, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই হাটে তুলবেন বলে জানান তাঁরা
গত বছর যে গরুটি ১ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, এবার সেটির দাম ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। খামারিরা আশা করছেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু প্রবেশ না করলে এ বছর দেশীয় গরুর ভালো দাম মিলবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারে এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা ৭৯ হাজার ৯২৯টি হলেও প্রস্তুত করা হয়েছে ৮০ হাজার ৬৩৭টি পশু। এর মধ্যে রয়েছে ৪৬ হাজার ৫৮০টি গরু, ১ হাজার ২৭২টি মহিষ, ২৮ হাজার ৬২২টি ছাগল ও ৪ হাজার ১৬৩টি ভেড়া। জেলায় নিবন্ধিত খামারির সংখ্যা ৭ হাজার ৩৭২। সরেজমিনে কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর, শমশেরনগর ও পতনউষার এবং মুন্সিবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের হাটবারে পশু উঠতে শুরু করেছে। এসব বাজারে কৃষকেরা স্থানীয় পাইকারদের কাছে গরু বিক্রি করছেন আর স্থানীয় পাইকাররা তা জেলার বড় পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন। ঈদের আগের দিনগুলোতে বিক্রি সবচেয়ে বেশি হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার খামারি সৈয়দ উল্লাহ বলেন, ‘আমার খামারে ২৫টি গরু রয়েছে। এগুলো কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছি। অনেক সময় পাইকাররা বাড়িতে এসে গরু কিনে নিয়ে যান। গরুর খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার গরুর দাম কিছুটা বেশি।’
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আশরাফুল আলম খান বলেন, ‘জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদার চেয়ে প্রায় ৭০০ গরু বেশি রয়েছে। আরও অনেক কৃষকের একটি-দুটি করে পশু রয়েছে, সেগুলো ছাড়াও। তাই কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না।