সোমবার, ০২ Jun ২০২৫, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ইতিহাসে প্রথম নারী নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)হিসেবে ফারজানা আক্তারের যোগদান। গোপালগঞ্জে সরকারি জমি ফাঁকা থাকলেও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ। গোপালগঞ্জে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৫ পালিত গোপালগঞ্জ ট্যাকসেস বার এসোসিয়েশন (জিটিবিএ) সদস্যদের মিলন-মেলা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান: ২০২৫ টুঙ্গিপাড়ায় গভীর রাতে গৃহকত্রীকে চোখ-মুখ বেঁধে ডাকাতির অভিযোগ গোপালগঞ্জের নির্বাচিত জেলা বাস মালিক সমিতি আহ্বায়ক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর। গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালেহ আনসার উদ্দিন – এতিম ছেলের ‘বাবা’ হলেন শরিসতালা বাজার হইতে ওসমানগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রায় ৬০০ ফুট রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ হয়। পরিদর্শনে ইউপি সদস্য দূরদূরান্ত থেকে পাইকারেরা আসছেন মৌলভীবাজারে টুঙ্গিপাড়ায় মোস্তফা কামাল চানমিয়ার বাড়িতে ডাকাতি, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালেহ আনসার উদ্দিন – এতিম ছেলের ‘বাবা’ হলেন

 

মোঃ শিহাব উদ্দিন , গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।

গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু সালেহ মো. আনসার উদ্দিন এক ব্যতিক্রমী মানবিক কাজের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সম্প্রতি, তিনি এক এতিম ও অসহায় শিশুর পাশে দাঁড়িয়ে যে ভালোবাসা ও স্নেহের পরিচয় দিয়েছেন, তা শুধুই একজন পুলিশ অফিসারের কর্তব্য নয়, বরং একজন স্নেহময় পিতার ভূমিকাও বটে।

ঘটনার সূত্রপাত একটি অসহায় ছেলেকে ঘিরে, যে সমাজে নিরাশার মুখোমুখি হয়ে ছিল। ঠিক তখনই আবু সালেহ এগিয়ে আসেন। শিশুটি তাকে আবেগঘন কণ্ঠে “বাবা” বলে ডাকে, আর তিনি তাকে নিজের সন্তানের মতো জড়িয়ে ধরেন। মানবিকতার এমন উদাহরণ বিরল, বিশেষ করে আজকের জটিল ও সংকীর্ণ সমাজ বাস্তবতায়।

আবু সালেহ মো. আনসার উদ্দিন বলেন, “আমি মনে করি, পৃথিবীতে যদি কেউ সত্যিকার অর্থে মানবসেবা করতে চায়, তাহলে পুলিশ বা ডাক্তারি পেশা বেছে নেয়া উচিত। কারণ এই দুটি পেশায় সাধারণ মানুষ তাদের দুঃসময়ে ছুটে আসে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “যখন কেউ তার পরিবার, জনপ্রতিনিধি বা সমাজপতিদের কাছ থেকে সাহায্য না পেয়ে পুলিশের দারস্থ হয়, তখন সেই মানুষটির পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”

পুলিশ বাহিনীতে তাঁর ভূমিকা শুধু আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে সীমাবদ্ধ নয়; বরং একজন সহানুভূতিশীল, দায়িত্বশীল ও মানবিক কর্মকর্তার প্রতিচ্ছবি তিনি। মাত্র দুই মাস হলো গোপালগঞ্জে যোগদান করেছেন, অথচ এর মধ্যেই মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন সততা, সহানুভূতি ও সেবার মানসিকতা দিয়ে।

এ ধরনের মানবিক কর্মকাণ্ড শুধু একজন কর্মকর্তার ব্যক্তিত্বকেই তুলে ধরে না, বরং পুরো পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে। সমাজে এমন ইতিবাচক উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের সামনে ভালো উদাহরণ তৈরি করতে।
2:03 AM

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত